জামালপুর প্রতিনিধিঃ বিশ্বে মহামারি করোনা ভাইরাস ও ওমিক্রোন নামক ব্যাদি থেকে জাতিকে রক্ষা করতে বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থার দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকারের স্থাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক দফায় দফায় সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার বন্ধ, পাঠদান ও জমায়েত নিসিদ্ধ করলেও কিছু অসাধু শিক্ষিত স্বার্থনাশিরা সরকারের বিধি নিষেধ কে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ীতে স্বাস্থ্য বিধির বালাই না রেখেই রমরমা ভাবে কোচিং বাণিজ্য ও নিয়মিত পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে এ- ওয়ান কিন্ডারগার্টেন, আয়ডিয়াল কিন্ডারগার্টেন, হাজরাবাড়ী কিন্ডারগার্টেন নামে কয়েকটি প্রতিষ্টান।

৯ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টায় হাজরাবাড়ী এ ওয়ান কিন্ডারগার্টেন সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ- ওয়ান কিন্ডারগার্টেন, সরকারের বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে নিয়মিত চালাচ্ছেন পাঠদান।

 

কিন্ডারগার্টেন এর পরিচালক আদ্রা আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক গোলাম মোস্তাফা বলেন, আমরা সরকারি দল করি বিধি নিষেধ আছে কয়জনে মানে সব এলাকাই চলতেছে আমিও চালাইতেছি ঐরকম কোন নির্দেশনা নাই, তাই চালাছি, এইতো ৭ তারিখে মেলান্দহ সম্মেলনে হাজার হাজার লোকের সমাগম ছিল তখন করোনা ও ওমিকোন ভাইরাস ছিলনা, সব ভাইরাস স্কুলে।

হাজরাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা (অজ্ঞাত নাম) বলেন – সরকারের বিধি নিষেধ মানলে আমাদের পেট ও শিক্ষার্থীর ভবিষৎ চলবে না।

হাজরাবাড়ী অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার দাবীদার ইসমাঈল লাজুু উগ্র ও উচ্চ স্বরে সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে ও অসালিন আচরণ করে বলেন- আমি এই প্রতিষ্ঠান চালাই।কে বা কার পাওয়ার আছে বন্ধ করুক। কয়দিন পর পর সরকার বিভিন্ন আদেশ নিষেদ দিবে তা মানতে গেলে আমাদের জীবন চলবে না। হাজরাবাড়ীতে করোনা নাই তাই সকল কিন্ডারগার্টেন চলছে ও চলবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক অভিভাবক জানান- স্কুল খোলা বাধ্য হয়ে বাচ্ছাদের আনতে হয়।ভয় লাগছে বাচ্ছাদের কোন সময় কি হয়ছে যায়।
সহকারী কমিশনার ( ভুমি) সিরাজুল ইসলাম বলেন- আমরা সরকারের নির্দেশনা পালনে কাজ করছি এবং যেখান স্বাস্থ্যবিধির মানা হচ্ছেেনা সেখানে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। আর হাজরাবাড়ীর বিষয়টি আমার জানাছিলনা। এখন জানলাম ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোক জানান-,এভাবে স্বাস্থ্য বিধির বালাই না রেখে দুইজন দু-স্কুলের শিক্ষক হয়েও সরকারের বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে নিয়মিত কোচিং ও ৩/৪ শত ক্ষুধে শিক্ষার্থীর জীবনের ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়ার নোংরামি মনুষ্যৎকে লোভের জলে ভিজিয়ে যাচ্ছে।কেউ কি এর কিছু বলার ও করণীয় বিষয়ে ভাববে এমন প্রত্যাশা সকলের।